ঢাকা,সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪

চকরিয়ায় টিআর, কাবিখার বরাদ্ধ লোপাট, ভুঁয়া প্রকল্পে হাতিয়ে নেয়ার অভিযোগ বাস্তবায়ন কর্মকর্তার বিরুদ্ধে

oniyom durnitiচকরিয়া প্রতিনিধি:
চকরিয়া উপজেলায় বিভিন্ন উন্নয়ন কাজে সরকার কর্তৃক বরাদ্দ দেয়া ২০১৫-১৬ অর্থ বছরের টিআর,কাবিখার সিংহভাগ লোপাট হয়েছে। উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তার আহসান উল্লাহ’র উদাসিনতার কারণে লোপাটের মহোৎসব চলছে। এছাড়া ভুয়া প্রকল্প দেখিয়ে কতিপয় নেতাদের নামে বরাদ্দ দিয়ে বেশ কিছু বরাদ্দকৃত টিআর, কাবিখার টাকা লোটপাট করে যাচ্ছে।
বেশ কিছু জনপ্রতিনিধি অভিযোগ করেছেন, উপজেলার ১৮ টি ইউনিয়নের ব্রিজ, রাস্তাঘাট মেরামত, কালভাটসহ বিভিন্ন উন্নয়ন মূলক কাজের জন্য সরকার বিগত ২০১৫-১৬ অর্থবছরে বিভিন্ন খাতে বেশ কিছু অর্থ ও চাল, গম বরাদ্দ দেয়। এসব কাজের বিনিময়ে দেয়া বরাদ্দ থেকে সরকারের বিভিন্ন দপ্তরের নাম ভাঙ্গিয়ে প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা সিংহ ভাগ টাকা প্রতিনিধিদের কাছ থেকে আদায় করে লোপাট করেছে। সুত্র জানায়, জেলা চেয়ারম্যান কর্তৃক বিভিন্ন মসজিদ, এতিমখানা, মাদ্রারাসা ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের নামে দেয়া বরাদ্দ থেকে টন প্রতি ২২ শ টাকা করে অগ্রিম আদায় করেছে। বরাদ্দ পাওয়া এক মাদ্রসাও এতিম খানার পরিচালক জানায়, তার আবেদনটি প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা (পিআইও) অফিস দিয়ে জেলা চেয়ারম্যান বরাবরে পাঠাতে হয়। এসময় খরচ হিসেবে পিআইওর সহকারী বাবুল চৌধুরীকে প্রথমে দিতে হয়েছে ৫শ টাকা। পরে বরাদ্দকৃত গম, চাউল উত্তোলন করতে দিতে হয় ২২ শ টাকা করে। এছাড়া বরাদ্দকৃত গম ও চাউল ওই পিআইও’র নিদিষ্ট ঠিকাদারকে বিক্রয় করতে বাধ্য করা হচ্ছে। খবর নিয়ে জানা গেছে, চকরিয়া উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা আহসান উল্লাহ গত ১৩ আগষ্ঠ ২০১২ সালে যোগদান করে। যোগদানের পর থেকে সরকার দলের ক্ষতিপয় কিছু নেতাদের সাথে সখ্য গড়ে তুলে বিভিন্ন সরকারের দেয়া বরাদ্দকে ভুয়া প্রকল্প দেখিয়ে উন্নয়ন না করে পকেটস্থ করে যাচ্ছে।
এ কর্মকর্তা আর কিছু দিন থাকলে চকরিয়ায় সরকার কর্তৃক উন্নয়ন কাজে দেয়া অর্থে কোন উন্নয়ন কাজে ব্যবহার না করে নিজেদের উন্নয়ন ছাড়া আর কিছু হবে বলে মনে করছেনা সচেতন মহল। গতকাল ২০১৫-১৬ অর্থ বছরে সরকার কর্তৃক দেয়া বিভিন্ন উন্নয়ন কাজে বরাদ্দের পরিমান ও প্রকল্পের নাম দিতে অস্বিকার করেন ওই অফিসের সহকারী বাবুল চৌধুরী। এতে করে এলাকায় সরকারের দেয়া প্রতিশ্রুতি ভেস্তে যাবে। এ দূর্নীতিবাজ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে দ্রুত ব্যবস্থা নিতে সংশ্লিষ্ট মহলের হস্তক্ষেপ কামনা করছেন।

পাঠকের মতামত: